বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা কৃষি প্রধান এলাকা।সবজি চাষে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে বাগেরহাটের চিতলমারী তার মধ্যে অন্যতম।আর বিষমুক্ত সবজি চাষে কীটনাশক,রাসায়নিক সারের বিকল্প কেচো সার(ভার্মি কম্পোষ্ট)।
রুস্তুম আলী ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান শেখ রাশেদুজ্জামান পুকুল চিতলমারীতে ২০২০সালে প্রথমে কেঁচো সার তৈরির প্রজেক্ট শুরু করেন ।তিনি বলেন বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করতে হলে কেচো সারের কোন বিকল্প নেই।
এই কথা মাথায় রেখে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে কৃষকদের উপকারের জন্য সুরশাইলের খামার বাড়িতে রুস্তুম আলী ফাউন্ডেশন ১০ লক্ষ টাকা নিজস্ব অর্থায়নে কেচো সার উৎপাদনে যায়। প্রথমদিকে সমালোচিত হলেও কোন কথায় কান না দিয়ে ৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ফুট প্রস্থের ৯৪টি বেডে কেচো সার উৎপাদনে যাই।
আমাদের এলাকার কৃষকরা কেঁচো সারের ব্যবহার,তার উপকারিতার কথা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নয়। কৃষি অফিস এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিলে আমার প্রকল্পের উৎপাদিত সার বিক্রি করতে কোন বেগ পেতে হতো না। উৎপাদিত সার বিক্রি করে কর্মরত ৬ জন শ্রমিকের বেতন দিতে হয়।কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে বারবার ধর্না দিয়েও সহযোগীতা পাচ্ছি না।বিপুল পরিমান উৎপাদিত কেচোঁ সার(ভার্মি কম্পোষ্ট) নষ্ট হতো না।
প্রতি হাউজে ৫ কেজি গোবর সার ও ২কেজি কেচোর সাহায্যে প্রায়১মন সার তৈরি করা যায় । মাসে প্রায় ৯০মনের মতো সার উৎপাদিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার অভিযোগ আস্বীকার করে বলেন,পুকুল সাহেব বললে কৃষি অফিস থেকে খামার বাড়ি গিয়েছিলো। তিনি সার বিক্রির কথা বললে বিসিআইসি সারের ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে বিক্রি ব্যবস্থা করতে পারতাম।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।